নবদূত রিপোর্ট:
শারদীয় দুর্গোৎসবে দেশের কিছু কিছু জায়গায় পূজামণ্ডপে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই ঘটনার বিচার দাবি করেছেন তারা।
এতে সংহতি প্রকাশ করে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়েছে এই সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সাথে কারা জড়িত থাকতে পারে, এই সাম্প্রদায়িক শক্তির রিমোট কন্ট্রোল কাদের হাতে। এরা হলো বিএনপি-জামায়াত নামক মাফিয়া রাজনৈতিক সংগঠন। যারা কখনো ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্রীয় মেশিনারিজ ব্যবহার করে এদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা চালিয়েছে। রাজনৈতিক আন্দোলনে ব্যার্থ হয়ে কখনো সাম্প্রতির উৎসবকে আক্রমণ করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চেয়েছে, যারা কমিউনাল গট ফাদার হয়ে যুগে যুগে বাংলাদেশের মানুষের কাছে চিহ্নিত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সাম্প্রদায়িক দাবানল যারা তৈরি করতে চায়, নির্দিষ্ট ধর্ম ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা যারা গড়ে তুলতে চায়, তাদেরকে না বলার সময় আজকে এসেছে। শুধুমাত্র প্রতিবাদ নয়, প্রতিরোধ গড়ে তোলার সময় এসেছে। যেখানেই মন্দিরে তারা আক্রমণ চালাবে সেখানে শুধুমাত্র আর্তনাদ আমরা করবো না। সকলের উৎসবের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে যে বাস দিয়ে আমরা বাঁশি তৈরি করি, সেই বাঁশের লাঠি দিয়ে তাদের প্রতিরোধ করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাহিত্য সংসদের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ বলেন, আমরা আগে মানুষ হবো, বাঙালি হবো। আজকে যখন রমজান আসে তখন আমরা দেখতে পারি, আমাদের যে বিধর্মী সহকর্মী, সহপাঠীরা, পড়া-প্রতিবেশী আছেন, আমি মুসলমান, আমি রোজা রেখেছি, এজন্য তারা আমার সামনে খাচ্ছেন না। বাংলার ঐতিহ্য হলো আমাদের বাঙালি হিন্দু, মুসলমান আমরা সবাই ভাই ভাই। এর মাঝে কোন বিভাজন নাই। আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী।
নাট্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক দিগার মোহাম্মদ বলেন, ‘যাদের উস্কানিতে, যাদের ইশারায় দেশে এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে, তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমরা জানান দিতে চাই, এ দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ। আমরা কোনোভাবেই এই বন্ধন, এই সম্পর্ক নষ্ট করতে দিব না।