Thursday, December 26, 2024
Homeশিক্ষাঙ্গনরাজনৈতিক প্রোগ্রামে বোরকা না পরার নির্দেশ ঢাবি ছাত্রলীগ নেত্রীর

রাজনৈতিক প্রোগ্রামে বোরকা না পরার নির্দেশ ঢাবি ছাত্রলীগ নেত্রীর

নবদূত ডেস্ক:

রাজনৈতিক প্রোগ্রামে বোরকা পরতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোকেয়া হল ছাত্রলীগের এক নেত্রীর বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেত্রীর নাম মাসুমা ইয়াসমিন। ছাত্রলীগের হল কমিটির পদ প্রত্যাশী ওই নেত্রী ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারী।

সূত্র জানায়, হল কমিটির পদ প্রত্যাশী ছাত্রলীগের ওই নেত্রী তার কর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। তবে এসব রাজনৈতিক প্রোগ্রামে বোরকা পরে অংশগ্রহণ করতে তিনি তার কর্মীদের নিষেধ করেছেন। তবে কেউ চাইলে হিজাব পরতে পারবে তিনি কর্মীদের জানিয়েছেন।

এছাড়া, ছাত্রলীগের সব প্রোগ্রাম অংশগ্রহণ করা বাধ্যতামূলক বলে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন। যদি কারো ক্লাস থাকে তাহলে ক্লাস বাদ দিয়ে হলেও প্রোগ্রামে থাকতে হবে।

শিক্ষার্থীরা জানান, রোববার (১৭ অক্টোবর) রাতে রোকেয়া হলে তার রুমে কর্মীদের ডাকেন মাসুমা ইয়াসমিন। এসময় কর্মীরা তার ডাকে সাড়া দিয়ে তার রুমে আসলে প্রথমে তিনি তাদের সঙ্গে তার রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতি নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনার শেষ পর্যায়ে রাজনৈতিক প্রোগ্রামে বোরকা পরতে নিষেধ করেন। একইসঙ্গে প্রোগ্রাম থাকলে ক্লাসে না যাওয়ার জন্য বলেন।

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই নেত্রীর কর্মীরা। তারা জানায়, কে কোন পোশাক পরে প্রোগ্রামে যাবে এটা একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। এ বিষয়ে নিষেধ করে তিনি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার এক কর্মী বলেন, ওইদিন রাতে সিনিয়রদের দিয়ে আপু আমাদের তার রুমে ডাকেন। রুমে যাওয়ার পর তিনি আমাদের সাথে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনার শেষ পর্যায়ে তিনি বলেন, সামনে হল কমিটি। এই দেড় মাসের মধ্যে কেউ যেন বোরকা পরে প্রোগ্রামে না যায়। তবে কেউ চাইলে শুধু হিজাব পরতে পারবে।

তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মাসুমা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, ‘আমি এ কথা বলি নাই। আমি বলেছি, তোমাদের মধ্যে অনেকে আছো যারা ক্লাসের মধ্যে বোরকা পরো। কিন্তু বাইরে বোরকা ছাড়া যাও। সেক্ষেত্রে তোমরা চেষ্টা করবে বাইরে যেমন বোরকা ছাড়া যাও প্রোগ্রামের সময়ও এরকম যেতে। যার যেমন ইচ্ছে আরকি। তবে, তোমাদের যদি মনে হয় বোরকা পরে তুমি কমফোর্ট ফিল করো। তাহলে তোমরা সেভাবেই যাবে।’

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের উপ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মেশকাত হাসান বলেন, ‘আমাদের গঠনতন্ত্রে এমন কোনো নির্দেশনা নাই। আমি নিজেও টুপি পাঞ্জাবি পরে রাজনীতি করি। যদি তিনি এমন কথা বলে থাকেন তাহলে তিনি ব্যক্তিগতভাবে এমন কথা বলেছেন। তিনি কোনোভাবেই একথা বলতে পারেন না।’

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা থাকলে সবাই বাধ্যতামূলকভাবে তা পালন করবে। আমাদের ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এমন কোনো নির্দেশনা নাই। ছাত্রলীগের একেকটা ইউনিটের নেতাকর্মী তাদের কর্মীদের গোছানোর জন্য এরকম নির্দেশনা দিতে পারে। এক্ষেত্রে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা নাই।

সূত্র: সময় নিউজ

RELATED ARTICLES

Most Popular