ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণ অধিকার পরিষদ এর সদস্য সচিব নুরুলহক নুর বলেছেন,’ স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসেও রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রের চালকেরা মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সঠিক তালিকা করতে পারেনি,কত সংখ্যক বুদ্ধিজীবীদের আমরা হারিয়েছি সে সম্পর্কেও কোন স্পষ্ট তথ্যও নেই।এটি আমাদের জন্য লজ্জার,জাতির জন্য দু্র্ভাগ্যের’।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন নুরুলহক নুর। ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করে গণ অধিকার পরিষদ।
এ সময় গণ অধিকার পরিষদ এর সদস্য সচিব নুরুলহক নুর বলেন, ‘বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও ইতিহাস ভাসানীকে ছাড়া লেখা সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে লিখতে হলেও ভাসানীকে ছাড়া লেখা অসম্পূর্ণ থাকবে। অথচ ভাসানীকে ঐভাবে স্মরণ করা হয় না। বার বার ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ কোনো বিশেষ দল বা গোষ্ঠীর কোন বিষয় ছিলো না। এটি জনযুদ্ধে পরিণত হয়েছিলো,যে যুদ্ধ এদেশের ছাত্র-শিক্ষক, কৃষক, শ্রমিক আপামর জনগণ অংশ নিয়েছিলো’।
নুর আরও বলেন, ‘সরকার ভিন্নমত দমন-পীড়ন,গুম-খুনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে দেশে একটি কর্তৃত্ববাদী শাসন কায়েম করে আর্ন্তজাতিক পরিমন্ডলে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে।র্যাব ও পুলিশ প্রধানসহ ৭জনের এই নিষেধাজ্ঞা দেশে ভয়ংকর বিপর্যয় ডেকে আনবে। শান্তিরক্ষী মিশনে সেনা পাঠানো বন্ধ হয়ে যেতে পারে, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হতে পারে। তাই এই অবস্থার প্রতিকারে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে, মানবাধিকারের সুরক্ষা দিতে হবে। ব্যক্তির দায় প্রতিষ্ঠান নিতে পারে না। তাই বাহিনীগুলোর ভিতর থেকেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি আসা উচিত।