ক্যাম্পাস ডেস্ক:
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তিতে এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।খুব অল্প সময়ে এবং দ্রুততার সাথে ভর্তি আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের ফলাফল ঘোষণা করেন।মাত্র ৭ দিনের মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর মেধা তালিকা প্রকাশ করেন।তাছাড়া মেধা তালিকার সাথে সাবজেক্টও নির্ধারণ করে দেওয়া হয় যেখানে গুচ্ছের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শুধু ম্যারিট প্রকাশ করেন।সর্বোচ্চ মেধা মূল্যায়নে জিপিএর উপর কোনো মার্কস রাখেনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার নম্বরের উপর ভিত্তি করেই মেধা মূল্যায়ন ও ভর্তি নেওয়া হচ্ছে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক রাহাত হুসাইন ফয়সাল বলেন, শিক্ষার্থীদের ম্যারিট পজিশনের সাথে সাবজেক্ট নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে যাতে শিক্ষার্থীরা বুঝতে পারে তার পছন্দ বিষয়ে ভর্তি হতে পারবে কি না।তাদের ভীতরে যে সংকোচ থাকবে,সেটি দুর করতে আমাদের এই স্বচ্ছতা।তাছাড়া আমরা ভর্তি পরীক্ষার নম্বরের উপর ভিত্তিতে মেধা মূল্যায়ন করেই ভর্তি নিচ্ছি।বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ ছাদেকুল আরেফিনের নির্দেশনায় এগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের ভর্তির আবেদনকারী শিক্ষার্থী শাহারিয়া আলম জানান, ম্যারিট পজিশনের সাথে সাবজেক্ট নির্ধারণ করে দেওয়া আমাদের জন্যে ভালো।কারণ আমরা বুঝতেই পারছি আমাদের পছন্দের সাবজেক্ট এসেছে বা আসবে।সেক্ষেত্রে আমরা একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হয়ে পছন্দের সাবজেক্টে ভর্তি হতে পারছি।তাতে আমাদের সময় ও অর্থ বেঁচে যাবে।তাছাড়া জিপিএর উপর মার্ক না রেখে ভর্তি নেওয়াটা যৌক্তিক।কারণ আমরা এইচএসসিতে অটোপাশ করেছি যা দিয়ে মেধার মূল্যায়ন করা সম্ভব না।
উল্লেখ্য, গত ৬ ডিসেম্বর ভর্তির আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।ভর্তি নেওয়া প্রক্রিয়াধীন। মোট ১৪৪০টি সিটের বিপরীতে আবেদন পড়েছিলো ৩৫ হাজার ৭৯২ জন।যেখানে ক ইউনিটে প্রতি সিটের জন্যে প্রতিদ্বন্দ্বী করেন ২৯ জন,খ ইউনিটে ২৪ জন ও গ ইউনিটে ১৯ জন।