ক্যাম্পাস ডেস্ক:
গবেষণা প্রকল্পের জন্য জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ পেয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) ১০ শিক্ষক।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্মসূচী’ খাত থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরে বিশেষ গবেষণা অনুদানের জন্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) চার বিভাগের ১০ শিক্ষক মনোনীত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. গোলাম মোস্তফা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। মনোনীত শিক্ষকগণ যৌথভাবে প্রতিটি গবেষণার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। মনোনীত শিক্ষকগণ প্রতিটি গবেষণার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে ২ থেকে ৪ লাখ টাকা করে পাবেন।
প্রকৌশল ও ফলিত বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে মনোনীতরা হলেন, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ধীমান কুমার রায়, সহকারী অধ্যাপক আবু জাফর মিয়া, সহকারী অধ্যাপক সুখেন গোস্বামী,ও প্রভাষক মো. হাসনাত জামান।
পদার্থবিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে মনোনীতরা হলেন, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. খোরশেদ আলম, সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজ আলম, প্রভাষক মো. সাইফ ইসতিয়াক ও রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মাসুদ পারভেজ।
জীববিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে মনোনীতরা হলেন, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সুব্রত কুমার দাস ও প্রভাষক শাওন মিত্র।
সার্বিক বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.মো.খোরশেদ আলম বলেন, এই গবেষণা প্রকল্পগুলোর অনুমোদনই প্রমান করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অপেক্ষাকৃত নতুন হলেও শিক্ষা ও গবেষণাখাত বেশ এগিয়ে যাচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে এটার বেশ ইতিবাচক প্রভাব পড়বে যাতে অন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও উৎসাহিত হবে।
গবেষণা প্রকল্পে অনুদান হিসেবে ড. মোঃ খোরশেদ আলম ও ড. মাসুদ পারভেজ ৩ লক্ষ টাকা, আবু জাফর মিয়া ও মো. হাসনাত জামান ২.৫ লক্ষ টাকা , ড. ধীমান কুমার রায় ও সুখেন গোস্বামী ২.৫ লক্ষ টাকা, ড. মোহাম্মদ মাহফুজ আলম ও সাইফ ইসতিয়াক ২ লক্ষ টাকা, ড. সুব্রত দাস ও শাওন মিত্র ২ লক্ষ টাকা পেয়েছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৭-১৯৭৮ অর্থবছর থেকে প্রতিবছর সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত ও গবেষণারত এমএস, এমফিল, পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের এই অনুদান প্রদান করা হয়। জীববিজ্ঞান, চিকিৎসাবিজ্ঞান, ইন্টার ডিসিপ্লিনারি, পদার্থবিজ্ঞান, পরিবেশ বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল ও ফলিত বিজ্ঞান এই ছয় ক্যাটাগরিতে ফেলোশিপ পাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট এক হাজার ২৭৬ জন গবেষক।