নবদূত রিপোর্ট:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের দাবিতে মিছিল-সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবের সামনে গিয়ে সমাবেশ করেন তারা।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ২০২২ সালের কার্যকরী পরিষদ নির্বাচন চলছিল। শিক্ষক সমিতিসহ অন্যান্য নির্বাচন হলেও শিক্ষার্থীদের জন্য ডাকসু নির্বাচনে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হবে না কেন সে প্রশ্ন তুলেছেন তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা ‘শতবর্ষের অর্জন ডাকসু কেন বর্জন’, ‘শিক্ষকদের নির্বাচন হয় ছাত্রদের নির্বাচন কবে’, ‘ডাকসু নির্বাচন বন্ধ শিক্ষকদের চোখ কি অন্ধ’, ‘ডাকসু দে ডাকসু দে’ ইত্যাদি প্লেকার্ড প্রদর্শন করেন।
শিক্ষার্থীদের সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী নির্বাচন চলাকালীন সেখানে সমাবেশ না করার অনুরোধ করেন। সেই সাথে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রক্টর অফিসে আহবান করেন।
প্রক্টরের আহবানে স্বাগত জানিয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, আমরা ডাকসু নির্বাচন চাই। এখানে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন হচ্ছে, এখানে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আমাদের বড় একটি প্রশ্ন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় মূল উপকরণ কারা। এটা ছাত্ররা অবশ্যই। এজন্য ছাত্রদের নির্বাচনটি বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।
ঢাবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন বলেন, হলের হাউজ টিউটরদের বেতন দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের সিট দেয়ার জন্য, হলের নিয়ন্ত্রণের জন্য। কিন্তু আমরা দেখতে পাই, হল চালায় সম্পূর্ণ ছাত্রলীগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনাকালীন সময়ে শিক্ষকদের নির্বাচন হয়েছে, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের নির্বাচনসহ সবার নির্বাচন হয় কিন্তু ছাত্রদের নির্বাচন হয় না। আমরা অতি দ্রুত ডাকসু নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।
উল্লেখ্য, প্রায় তিন দশকের অচলাবস্থা কাটিয়ে ২০১৯ সালে ডাকসু নির্বাচন হওয়ার পর আবার তাতে ছেদ পড়েছে। তাই নতুন করে ডাকসু নির্বাচনের দাবিও উঠেছে। ডাকসুর গঠনতন্ত্রে ছাত্র সংসদের মেয়াদ ৩৬৫ দিন। নিয়ম অনুযায়ী ২০২০ সালে ২৩ মার্চ ছাত্র সংসদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি।