নবদূত রিপোর্ট:
সাতক্ষীরায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রচারণাকে কেন্দ্র করে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে আরেক প্রার্থীর বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার জেলার আশাশুনি থানার প্রতাপনগর ইউনিয়নে আনারস প্রতীকের প্রার্থী হাজী আবু দাউদ ঢালীর সমর্থকেরা দিনভর বিপক্ষের দুই প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর এই হামলা চালায় বলে জানা গেছে। এতে মো. ফেরদৌস গাজী (১৬) নামের এক চশমা প্রতীকের এক সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছেন।
প্রতক্ষদর্শীরা জানান, প্রচারণার শুরু থেকেই মারমুখী অবস্থানে ছিলো হাজী আবু দাউদ ঢালীর সমর্থকেরা। তারা প্রতিপক্ষ চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নির্বাচনী কাজে বারবার বিঘ্ন করছিলেন। এর জের ধরে শুক্রবার দিনভর তারা নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের মারধর করেন। নৌকার প্রার্থীদের মারধর শেষে তারা সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা চশমার পাঁচজন সমর্থককেও বেদম মারপিট করেন।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- ফৈরদৌস গাজী, আশরাফ ওরফে আছরোফ গাজী, আরশাদ গাজী, মিলন গাজী, আমিরুল মল্লিক, অজিয়ার মোড়ল এবং কামাল গাজী।
নৌকা প্রতিকের প্রার্থী শেখ জাকির হোসেন বলেন, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা সব আনারসের সমর্থক। তারা এলাকায় শুরু থেকেই নির্বাচনের পরিবেশ বিঘ্ন করছে। আমার সমর্থকদের ওপর তারা বিনা উস্কানিতে হামলা চালিয়েছে। এতে প্রায় ৬ জন আহত হয়েছেন। আহতরা স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আমরা সন্ত্রস্ত।
স্বতন্ত্র চশমা প্রতিকের প্রার্থী নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, আমার চারজন সমর্থককে আনারসের লোকজন বেদম মারধর করেছে। তারা শুরু থেকেই নির্বাচনী কার্যক্রমে বাধার সৃষ্টি করে আসছে। কিন্তু গত কয়েকদিন তারা সম্পূর্ণ বিনা উস্কানিতে আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করে।
আশাশুনি সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত এক চিকিৎসক বলেন, সবারই ইঞ্জুরি হয়েছে। তবে ফেরদৌসের মাথার আঘাতটা বেশ গুরুতর। তাকে আমরা অবজারভেশনে রেখেছি।
অভিযোগের বিষয়ে আনারসের প্রার্থী দাউদ ঢালী বলেন, ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। বড়সড় কোনো মারামারি হয়েছে বলে আমি শুনিনি। শুধু জানতে পেরেছি যে, একজন আহত হয়েছে। এর বেশি তেমন কিছু হয়নি। একথা বলে তিনি মোটরসাইকেলের উপর আছেন বলে ফোন রেখে দেন।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম কবির বলেন, হামলার শিকার উভয়পক্ষই অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আমরা ব্যবস্থা নেবো। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেউ কারও উপর হামলা করবে, এর কোনো ক্ষমা নেই।