নবদূত রিপোর্টঃ
বেরোবিতে চান্স পেয়েও ভর্তির অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে শাহীন। শত প্রতিকুলতা উপেক্ষা করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবিতে) স্নাতকে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন শাহীন আলম। তার বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার বুজরুক বাগবাড় গ্রামে। কিন্তু আর্থিক জটিলতার কারণে তার ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
তার বাবা তাছির উদ্দিন একজন ভ্যানচালক। আরও তিন ভাই ও এক বোন রয়েছে তার। বোনের বিয়ে হয়েছে করোনাকালে। জায়গা-জমি বলতে কিছুই নেই, অপরের জমিতে ভিটেমাটি।
বাবার সামান্য আয় দিয়েই চলতো পরিবারের ভরণপোষণসহ তার পড়াশোনা। দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া এ ছেলেটি এবার (২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ) বেরোবির ভর্তি পরীক্ষায় ‘সি’ ইউনিটে উত্তীর্ণ হয়েছেন। তার মেধাক্রম ৬৮তম।
ভর্তির শেষ তারিখ আগামী ৯-১১ জানুয়ারি। প্রয়োজন মাত্র ১০ হাজার টাকা। কিন্তু শাহীনের পরিবারের পক্ষে এত টাকা সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। শাহীন দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করেই
ছোটবেলা থেকে পড়াশোনা করেছেন ।শত বাধা সত্বেও শাহিন পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন। নুরুল হুদা স্কুল মাধ্যমিক এবং রংপুর সরকারি কলেজ থেকে বাণিজ্য বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন।
শাহিন বলেন, “দরিদ্র মা-বাবার পক্ষে আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করার সামর্থ্য নেই। পড়াশোনার খরচ চালানো পরিবারের পক্ষে সম্ভব ছিল না। এখনো সম্ভব নয়। শাহিন আলম বলেন এত টাকা পরিবারের পক্ষে বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই উচ্চশিক্ষার যে স্বপ্ন দেখতাম, তা অর্থের অভাবে অনিশ্চয়তায় পড়েছে।”
শাহীনের বাবা বলেন, “অনেক কষ্ট করে নিজে না খেয়ে বেটারে স্কুল কলেজ পড়াইছং। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাইছে। কিন্তু হাতে কোনো ট্যাকা-পয়সা নাই। এজন্য মুই চিন্তা করি কুল পাং না। কী করিম এলা। গতবার বেটার জন্য এনজিও থেকে ৫০ হাজার ট্যাকা লোন তুলেছিলাম, সেই দেনায় এখনো টানতেছি। তোমরা আমাদের সাহায্য করো। যাতে মোর বেটা পড়ালেখা চালাই যেতে পারে। আল্লাহ তোমাদের ভালো করিবে।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাজেদুর রহমান বলেন, শাহীন অনেক পরিশ্রমি, মেধাবী। শাহীন ছোটবেলা থেকে অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া চালিয়ে আসছে। ওর বাবা একজন ভ্যানচালক, এতদিন অনেক কষ্টে লেখাপড়া করিয়েছে। আমাদের সবার প্রচেষ্টায় একটা ভালো কিছু হবে মনে করি। তাই আসুন আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই।
শাহীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে এই (নগদ- ০১৭৯৬-৯৪৫৪৩১) নম্বরে।