নবদূত রিপোর্ট:
দরজায় কড়া নাড়ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন। রাত পোহালেই ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। রোববার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ করা হবে। এ জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে দুই হাজার ৯১২টি ইভিএম মেশিন। প্রতিটি কেন্দ্রে প্রয়োজনের তুলনায় দেড়গুণ ইভিএম রাখা হবে।
শুক্রবার রাত ১২টায় নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়। বহিরাগতদের নির্বাচনী এলাকা ত্যাগ করতে কমিশনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার রাত থেকে এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
নির্বাচনে সহিংসতা রোধে ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পেনাল কোডের অধীনে তারা মামলা নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ পরিচালনা করতে পারবেন।
নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াত আইভী (নৌকা), খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি নেতা তৈমূর আলম খন্দকার (হাতি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ২৭টি ওয়ার্ডের ১৯২টি কেন্দ্রের এক হাজার ৩৩৩ ভোটকক্ষে পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন ও সংরক্ষিত নয়টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে রয়েছেন ৩৪ জন প্রার্থী।