নবদূত রিপোর্ট:
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ছাত্রীদের আন্দোলনে ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলার প্রতিবাদ ও তাদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে “মশাল মিছিল” করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
সমাবেশে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে হল প্রভোস্টকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে এবং হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বহন করতে হবে এবং তিনি আরও বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য কিন্তু তিনি তার চেয়ার টিকিয়ে রাখতে শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগ ও পুলিশ দিয়ে হামলা চালিয়েছে। এই নিন্দনীয় হামলার জন্য তিনি ধিক্কার জানান। এই হামলার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দুঃখপ্রকাশের আল্টিমেটাম দিয়েছেন নাহয় সারাদেশে ছাত্রদের নিয়ে আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, “শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে পূর্ণ সংহতি জানাই এবং পুলিশ ও ছাত্রলীগের জলকামানসহ নগ্ন হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে হামলায় জড়িত ছাত্রলীগের কর্মীদের বহিষ্কার, দায়িত্বরত পুলিশ অফিসারকে প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ সভাপতি আসিফ মাহমুদ বলেন, শাবিপ্রবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর গতকাল ছাত্রলীগ হামলা চালায়। আজ বিকেলে ক্যাম্পাসে ঢুকে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড এবং ছড়রা গুলি করে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীদের আহত করে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা স্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের দাবি না মেনে নিয়ে যদি তাদের উপর আবার কোন ধরনের হামলা করা হয় তাহলে সারাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রুখে দাড়াবে। অতীতেও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ফলাফল কখনোই প্রশাসনের পক্ষে যায় নি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ সকল নীতি নির্ধারকদের এই ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়ার আহ্বান জানাই।
মাশাল মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সোহেল মৃধা, রেদওয়ান উল্লাহ, ফরহাদ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, রহমাতুল্লাহ নিহাল, সহ-সাংগঠনিক মামুনুর রশীদ, তৌহিদুল ইসলাম তুহিনসহ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি ভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।