নবদূত রিপোর্ট:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ‘রেস্টোরেটিভ জাস্টিস ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড কানাডা: অ্যা কম্পারেটিভ অ্যানালাইসিস’ শীর্ষক এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) অনলাইন প্লাটফর্ম জুমে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে কানাডার রেজিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ বাংলাদেশ ও কানাডার বর্তমান বিচার প্রক্রিয়া এবং রেস্টোরেটিভ বিচারের কার্যকারিতার বিষয়গুলো আলোচনা করেন।
আলোচনাসভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান। সভাপতিত্ব করেন বিভাগের চেয়ারম্যান খন্দকার ফারজানা রহমান এবং পরিচালনা করেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উম্মে ওয়ারা। আলোচনাসভায় বিভাগের শিক্ষক এবিএম নাজমুস সাকিব ও অন্যান্য শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
প্রধান আলোচক ড. আসাদুল্লাহ তার বক্তব্যে অপরাধ, রেস্টোরেটিভ বিচার প্রক্রিয়া ও অপরাধ দমনে রেস্টোরেটিভ বিচারের সম্ভাব্যতা তুলে ধরেন। হাওয়ার্ড জের ১৯৭৪ সালে প্রথম রেস্টোরেটিভ জাস্টিসের যে ধারণা দিয়েছিলেন সেটির উপর ভিত্তি করে বর্তমানের বিচার প্রক্রিয়ায় রেস্টোরেটিভ বিচারের ভূমিকা নিয়ে তিনি কথা বলেন।
এছাড়া তিনি বাংলাদেশের বর্তমান বিচার ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে রেস্টোরেটিভ জাস্টিসের ভূমিকা এবং কিভাবে বর্তমানের বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও বিচারাধীন মামলার নিষ্পত্তিকরণে অবদান রাখতে পারে সেই বিষয়গুলো তুলে ধরেন। সেই সাথে কানাডার বিচার প্রক্রিয়ায় অপরাধী ও ভিক্টিম উভয়ের জন্যই রেস্টোরেটিভ জাস্টিস কিভাবে একটি আলোচনা-কেন্দ্রিক ও বন্ধুসুলভ নীতি কার্যকর করছে সেই বিষয়ের উপরও আলোকপাত তিনি করেন।
আলোচনাসভায় বিভাগের চেয়ারম্যান খন্দকার ফারজানা রহমান রেস্টোরেটিভ বিচার ব্যবস্থা বর্তমান সময়ের জন্য একটি উপযোগী ও সম্ভাবনাময় প্রক্রিয়া এবং জেল ব্যবস্থা ও অপরাধী সংশোধন ব্যবস্থার সাথে যে রেস্টোরেটিভ বিচার ব্যবস্থা ওতপ্রোতভাবে জড়িত সেই বিষয়ের উপরও আলোকপাত করেন।
এছাড়া তিনি উপস্থিত আলোচক ও বিভাগের সকল শিক্ষার্থীর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং বিভাগটি সবসময়ই আধুনিক যুগের শিক্ষাব্যবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে সিলেবাসভিত্তিক পাঠদানের পাশাপাশি অপরাধ ও সামাজিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বিষয়ভিত্তিক কনফারেন্স, সেমিনার, আলোচনাসভা আয়োজন করে যা শিক্ষার্থীদের মনন গঠনে সহায়ক সেই বিষয়গুলির প্রতি দৃষ্টিপাত করেনা।