Tuesday, December 24, 2024
Homeসারাদেশঅগ্নি ঝুঁকিতে রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা ফ্লাইওভার

অগ্নি ঝুঁকিতে রূপগঞ্জ উপজেলার ভুলতা ফ্লাইওভার

নবদূত রিপোর্টঃ

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভূলতা ফ্লাইওভারের বেশ কয়েকটি খুঁটির গোড়ায় দিনরাত ২৪ ঘন্টা আগুন জ্বলছে। এতে ফ্লাইওভারের পানি নিস্কাসনের কয়েকটি পাইপ পুড়ে গেছে। রূপগঞ্জ উপজেলার ভূলতা পুলিশ ফাড়িঁর সামনে দিন রাত এভাবে আগুনের ঘটনা গত ২ মাস ধরে। এতে ফ্লাইওভারের খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।

তবে কে বা কারা আগুন দিচ্ছে এ ব্যপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ব্যপারে ভূলতা পুলিশ ফাড়িঁর ইনচার্জ মাহবুবুর রহমানের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

ভূলতা এলাকার যানজট নিরসনে তিন’শ ৫৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ভূলতা ফ্লাইওভার নির্মান করা হয়েছে। এতে যানজট কমলেও ঝুঁকি রয়েই গেছে। ভূলতা পুলিশ ফাড়িঁর যোগসাজসে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অবৈধ ফুটপাত বসিয়ে চলে চাঁদাবাজি। সারাদিন ফুটপাত ব্যবসায়ীরা ব্যবসা শেষে ময়লা আবর্জনা ফ্লাইওভারের গোড়ায় ফেলে রাখে। এখানে দিনের পর দিন ময়লা ফেলার কারনে ফ্লাইওভারের নীচে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। আর এসব ময়লার ভাগাড় থেকে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে আশপাশের পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। ময়লার স্তুপে পথচারীদের মলমূত্র ত্যাগ করতে দেখা গেছে।

কে বা কারা মৃত পশু পাখি ফেলে রাখছে। এ যেন এক নর্দমা। একদিকে আগুন জ্বলছে অপরদিকে ময়লা ফেলছে ফুটপাত ব্যবসায়ীরা। ভূলতা ফাড়ির সামনে এ ঘটনা ভাল চোখে দেখছেনা এলাকার সচেতন মহল। দিনরাত আগুন লাগার কারনে পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ভয়াবহ দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। ফ্লাইওভার দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করে।

আগুনের হিটে পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হলে ফ্লাইওভার ধসে যেতে পারে বলে আশংকা করছে সংশ্লিষ্টরা। আগুনে ফ্লাইওভারের পানি নিস্কাশনের ৭টি পাইপ পুড়ে গেছে। আগুনের তাপে পিলারের সিমেন্টের কার্যক্ষমতা কমে যেতে পারে। ফলে যেকোন সময় ফ্লাইওভার ধসে যেতে পারে। এতে আতংকে রয়েছে স্থানীয়রা।

গোলাকান্দাইল এলাকার হাজী মিলন ভূইয়া জানান, সব সময় এখানে আগুন জ্বলে। অনেক সময় দূর্গন্ধযুক্ত ধোয়া চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এভাবে জ্বলতে থাকলে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে তিনি আশংকা প্রকাশ করে বলেন দ্রুত এর ব্যবস্থা নেয়া দরকার। ভূলতা পুলিশ ফাড়িঁর সামনে এ ঘটনা ঘটলেও ইনচার্জ মাহবুব কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা।

এ ব্যপারে বারবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার বিষয়ে খোঁজ নিলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কনষ্টেবল বলেন, স্যার ফাড়িতে খুব কমই বসেন। অসুস্থ্য থাকার কারনে ছুটি কাটান বেশি।

RELATED ARTICLES

Most Popular