নবদূত রিপোর্টঃ
পিরোজপুরে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ) পিরোজপুর জেলা কমিটি। জেলার সর্বস্তরের মাধ্যমিক শিক্ষকরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
বুধবার (২৩ মার্চ) সকাল ১১ টায় পিরোজপুর টাউন ক্লাব সড়কে জেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মৃধা’র সঞ্চালনায় এবং জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি সুখ রঞ্জন বেপারী’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন খান সহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এসময় বক্তারা বলেন, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেক বৈষম্য রয়েছে। বেসরকারি শিক্ষকদের বছরে শতকরা ২৫ ভাগ উৎসব ভাতা, ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া আর ৫০০ চিকিৎসা বাবদ দেওয়া হয়, যা বর্তমানে খুবই অপ্রতুল। এছাড়াও অবসর ভাতার জন্য শতকরা ৪ ভাগ টাকা কেটে রাখা হলেও অবসর ভাতা পেতে হলে পোহাতে হয় অনেক কাঠখড়। এই সমস্ত সমস্যা দূর করে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবি জানান তারা।
মানববন্ধন ও স্মারকলিপির মাধ্যমে তারা ১১ দফা দাবি জানান
১. মুজিববর্ষেই মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ চাই।
২. আসন্ন ঈদের পূর্বেই সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা প্রদান।
৩. পূর্ণাঙ্গ পেনশন ভাতা চালুকরণ এবং পেনশন ভাতা চালু না হওয়া পর্যন্ত অবসর গ্রহণের ৬ মাসের মধ্যে অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের পাওনা প্রদান ও শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪% কর্তন বন্ধ করা৷
৪. স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওকরণ।
৫. সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ন্যায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকগণের বেতন স্কেল যথাক্রমে ৬ষ্ঠ ও ৭ম গ্রেডে উন্নতিকরণ।
৬. এমপিওভূক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বদলি প্রথা চালু করা।
৭. বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের চাকরির বয়সসীমা ৬৫ বছরে উন্নতিকরণ।
৮. পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ন্যায় শিক্ষক নিয়োগ কমিশন গঠন এবং শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আনুপাতিক হারে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পদায়ন।
৯. করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত নন-এমপিও শিক্ষক কর্মচারীদের আর্থিক প্রণোদনা এবং শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে শিক্ষা সহায়ক ডিভাইস প্রদান।
১০. ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডির সদস্যদের নূন্যতম শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন।
১১. শিক্ষা ক্ষেত্রে বিরাজমান সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে শিক্ষা নীতি ২০১০ দ্রুত বাস্তবায়ন করা।