১লা সেপ্টেম্বরের মধ্যে সারাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে না দিলে আমরণ অনশনে বসবে রাজশাহীর শিক্ষার্থীরা।
আজ শনিবার সকাল ১১টায় রাজশাহীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।এসময় শিক্ষার্থীরা ১লা সেপ্টেম্বর এর মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার রূপরেখা হাজির না করলে আমরণ অনশনে বসার ঘোষনা দেয়।
করোনা মোকাবেলায় প্রায় ৫২২ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বার বার খোলার কথা বললেও এখন পর্যন্ত কোন রূপরেখা দিতে পারেননি।দীর্ঘ সময় ঘরে বন্দি থেকে সাধারণ শিক্ষার্থী জীবন ব্যহত হচ্ছে বলে জানান বক্তারা।বিভিন্ন ধরনের শারিরীক, মানসিক সমস্যা, আত্মহত্যা প্রবণতা এবং অলস সময় কাটাতে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন গেমস এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষামন্ত্রণালয় থেকে এসএসসি এবং এইচএসসি ফাইনাল পরীক্ষা কি প্রক্রিয়ায় নেওয়া হবে এবিষয়ে কোন রূপরেখা এখনো হাজির করা হয়নি ।যার কারণে এসব বিষয় শিক্ষার্থীদের একাডেমিক জীবনকে হুমকির মুখে ফেলছে।
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি নির্ভর করছে সংক্রমণ ও টিকা দেওয়ার অবস্থাটা কোন পর্যায়ে হয় সেটির ওপর।শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি অবশ্যই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।সকল পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সার্বিক প্রস্তুতি সরকারের আছে।
সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে বার বার এরকম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ বদলানোতে রাজশাহী সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ ১লা সেপ্টেম্বরের মধ্যে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলার আল্টিমেটাম দেয়।জাতিসংঘের বার্তা অনুযায়ী,”বন্ধের ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সবার শেষে এবং খোলার ক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সবার আগে” মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার আহবান জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে এবং এরপরেও সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত না নিলে সারাদেশে এক দফা এক দাবি,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে সকল শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের রাজপথে নামার আহবান করা হবে।
তৌফিক প্রান্ত,রুয়েট প্রতিনিধি।