নবদূত রিপোর্ট:
মরনব্যাধি ডেঙ্গু প্রতিরোধে সারাদেশে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন শুরু করেছে সামাজিক সংগঠন জেনেসিস ফাউন্ডেশন। গত এক মাসে ঢাকা থেকে শুরু করে শরিয়তপুর, রাজশাহী, ঠাকুরগাঁওসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় জেনেসিস ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকেরা এই সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে ফাউন্ডেশনটির পক্ষ থেকে এই ব্যাধির বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কিত সচেতনতামূলক পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। উক্ত পোস্টার ও লিফলেটে ডেঙ্গু কেন হয়, কীভাবে হয়, ডেঙ্গু হলে কী করনীয় এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী করা প্রয়োজন তা বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা ছিল। সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা বাসা বাড়িতে পোস্টার লাগানো ও হাটে হাটে লিফলেট বিতরণ ছাড়াও মৌখিকভাবে ‘সচেতন নাগরিক প্রকল্প’ এর অংশ হিসেবে জনসাধারণকে ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতন হওয়ার কথা বলেছেন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন সম্পর্কে জেনেসিস ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট শামসুল আলম রিফাত বলেন, “একদম মাঠ পর্যায়ে ডেঙ্গু সচেতনামুলক এই ক্যাম্পেইন করার মাধ্যমে আমরা একদিকে তরুণ প্রজন্মের মাঝে স্বেচ্ছাসেবী কাজের বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছি এবং একইসাথে জনসাধারণকে ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতন করছি। আশা করি উক্ত ইভেন্টের মাধ্যমে কিছু মানুষ হলেও উপকৃত হবে।”
অন্যদিকে ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ রাফিজ খান বলেন, “ডেঙ্গু যেহেতু প্রতি বছরই জনমানুষের জীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলছে তাই এই সচেতনামুলক ক্যাম্পেইনকে চলতি বছর থেকে আমাদের ফাউন্ডেশনের একটি ক্যালেন্ডার ইভেন্ট হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। চলতি বছর থেকে প্রতি বছর ‘সচেতন নাগরিক প্রকল্প’র আওতায় সারাদেশে জেনেসিস ফাউন্ডেশন ের উদ্যোগে উক্ত ইভেন্টটি অনুষ্ঠিত হবে।”
জেনেসিস ফাউন্ডেশন একটি অলাভজনক অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী জনকল্যাণমূলক সামাজিক সংগঠন। ২০১৮ সালের জুন মাসে পৃথিবী হোক ভালোবাসাময়’ স্লোগানকে সামনে রেখে একদল তরুণ স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল এ ফাউন্ডেশনটি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বর্তমানে জেনেসিস ফাউন্ডেশনের প্রায় ৭০০ স্বেচ্ছাসেবী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশের ১২ টি জেলায় স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। বর্তমানে ফাউন্ডেশনটি নিয়মিত দেশের ১৩ টি জেলায় ‘পৃথিবী প্ৰাণ চাই’, ‘সচেতন নাগরিক প্রকল্প’, ‘‘ঈদ হোক ভালোবাসাময়’, ‘বন্যার্তদের পাশে আমরা’, ‘রক্তদান হোক উপহার’, ‘ইফতার উইথ বিউটিফুল পিপল’, ‘শীত হোক উষ্ণতার’, ‘আলোকিত মানুষ’, ‘আলোকিত পৃথিবী’ নামে নানা ইভেন্ট প্রতিবছর পরিচালনা করে যাচ্ছে।