Saturday, September 21, 2024
Homeশিক্ষাঙ্গনসম্মেলন চাওয়ায় ঢাবিতে মারধরের শিকার ছাত্রলীগ নেতা

সম্মেলন চাওয়ায় ঢাবিতে মারধরের শিকার ছাত্রলীগ নেতা

নবদূত রিপোর্ট:

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০ তম সম্মেলনের ব্যপারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখি এবং প্রেস রিলিজের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় কমিটি দেওয়ার ব্যপারে সরব থাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্ন্যাকস (ডাস) এর সামনে শুক্রবার রাতে মারধরের শিকার হয়েছেন ছাত্রলীগের এক নেতা।

ভুক্তভোগী আবদুল্লাহ আল মুন্না হাদী (২৫) সিলেটের কানাইঘাট সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং জেলা ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী ছিল। সিলেটের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সাথে কথা বলার জন্য ঢাকায় আসেন তিনি। অপরদিকে অভিযুক্ত আমির হামযা ও তার সহযোগীরা ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের অনুসারী। এম এম আব্দুল্লাহ আল হাদী বর্তামানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে বলে জানা যায়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল (২৯ অক্টোবর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাসের সামনে সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা, ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী রুদ্রিক রাব্বী ও জগ্ননাথ হল ছাত্রলীগের কর্মী পলাশের নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের একটি দল এ হামলা করেন।

আহত মুন্না বলেন, আমাকে মারধর করার পর আমার পকেটে থাকা পাঁচ হাজার ছয়শো টাকা নিয়ে নেন। এবং আমার হাতে থাকা একটি মোবাইল আছাড় মেরে ভেঙ্গে ফেলেন। দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তারা আমাকে মারতে থাকে। এবং বলে তুই এখানে আসছিস কেন? তুর এখানে কাজ কী? তুরে মেরে ফেলবো! ইত্যাদি বলে কিল ঘুষি মারতে থাকে আমির হামজা।

এ বিষয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা করা হয়েছে বলে জানান মুন্না।

অভিযুক্ত আমির হামজার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার ব্যাপারে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে এবং ইমেজ ক্ষুন্ন করার লক্ষ্য আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি ৭ টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত টিএসসিতে ছিলাম। এবং ৯ টার পর থেকে জয় ভাইয়ের( ছাত্রলীগ সভাপতি) জন্মদিন উপলক্ষে কেক আনা ও অন্যান্য কাজে ব্যস্ত ছিলাম।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মেশকাত হোসেন বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। একজন তৃণমূলের কর্মী আদর্শিক জায়গা থেকে সম্মেলনে চাইতে পারে। ঢাকায় এসে ছাত্রলীগ সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করতে পারে। এটা তার অধিকার। তাই বলে কি গুণ্ডা বাহিনী দ্বারা মারধর করতে।হবে? আদর্শিক ছাত্রলীগের এটা কোন কাজ হতে পারে না। ছাত্রলীগের মধ্যে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সোহান খান বলেন, বর্তমান সভাপতি -সাধারণ সম্পাদক ছাত্রলীগকে পকেট কমিটি বানিয়ে ফেলছে। কারো যেন কথা বলার অধিকার নেই। শোভন-রব্বানী থেকে কোন ধরনের শিক্ষা জয়-লেখক নেয় নি বলে উল্লেখ করেন ছাত্রলীগের এই নেতা।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

মামলার আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ থানার  অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মওদুত হাওলাদার বলেন, এরকম একটি অভিযোগ আমাদের কাছে এসেছে। বিষয়টি যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে তাই কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি আমরা তদন্ত করবো। এবং আইন অনুযায়ী যথাযথ পদক্ষেপ নিবো।

RELATED ARTICLES

Most Popular