Friday, November 15, 2024
Homeপ্রযুক্তিআধুনিক মোবাইল এপ্লিকেশন উদ্ভাবন করেছে জবি শিক্ষার্থীদের একটি দল

আধুনিক মোবাইল এপ্লিকেশন উদ্ভাবন করেছে জবি শিক্ষার্থীদের একটি দল

শিক্ষা ডেস্কঃ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা একটি আধুনিক মোবাইল এপ্লিকেশন (অ্যাপ) উদ্ভাবন করেছে। যা গণপরিবহন খাতে বিশেষ পরিবর্তন আনবে। এপ্লিকেশনটির নাম দেওয়া হয়েছে গো বাংলাদেশ (GO BANGLADESH)। কিউআর কোড, ডিজিটাল ওয়ালেট, মোবাইল ব্যাংকিং ও ট্র্যাকিং সিস্টেম ব্যবহার করে এপ্লিকেশন ভিত্তিক একটি আধুনিক গণপরিবহণ ব্যবস্থা প্রকল্পের উদ্ভাবন করা হয়েছে। এতে কিউআর কোড স্ক্যান করেই ভাড়া দিতে পারবেন যাত্রীরা।

এপ্লিকেশনটি উদ্ভাবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. মেহেদী হাসান সৌরভ, ১৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রেজাউল করিম এবং ১৫ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর হোসাইন ও নিশাত মাহমুদ টিম মেম্বার হিসেবে ছিলেন।

ইতোমধ্যে প্রস্তাবিত পদ্ধতিটি বাস্তবায়নের জন্য উদ্ভাবন ডিজাইন ও উদ্যোক্তা একাডেমি (Innovation Design and Entrepreneurship Academy- IDEA) থেকে ১০ লাখ টাকার ফান্ড পেয়েছে প্রকল্পটি।

উদ্ভাবিত প্রজেক্টটি মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত মুজিব ১০০ আইডিয়া প্রতিযোগিতা ২০২১ সেরা ৩০ এর মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। এছাড়া আইডিয়াটি সিটি ইউনিভার্সিটি আয়োজিত CSE Festival ২০২১ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। এরইমধ্যে হিমাচল পরিবহন বাস সিস্টেমটি ব্যবহারের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

এ অ্যাপ উদ্ভাবনে চার শিক্ষার্থীর টিমকে সার্বিক পরিচালনা করেছেন সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জুলফিকার মাহমুদ ও সাবেক শিক্ষক জাহিদুর রহমান।

জুলফিকার মাহমুদ এ বিষয়ে বলেন, “অনিবন্ধিত বাস ও ড্রাইভার এ সিস্টেম ব্যবহার করতে পারবে না। বাসের প্রতিটি সিটের পিছনে একটি করে কিউআর কোড লাগানো থাকবে। যাত্রী যে সিটে বসে আছে তার সামনের সিটের পিছনে সে সিটের কোডটি থাকবে। যাত্রীরা তার সামনের কোডটি স্ক্যান করার মাধ্যমে শুধু গন্তব্য সিলেক্ট করে ভাড়া দিয়ে দিতে পারবে। ডিজিটাল ওয়ালেট থেকে টাকা কেটে নিবে। তাছাড়া ভবিষ্যৎ ভ্রমণের জন্য অগ্রিম টিকিটও বুক করে রাখা যাবে।”

তিনি আরো বলেন, “জার্নির বিপরীতে কোন মন্তব্য বা অভিযোগ থাকলে যাত্রীরা তা একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত দিতে পারবে ও সেবার মান নির্ধারণ করতে পারবে। আর এসব কার্যক্রম সরাসরি পরিবহণ মালিক দেখতে পারবে। কোন যাত্রী ডিজিটালি ভাড়া দিতে না পারলে ক্যাশ টাকার মাধ্যমেও ভাড়া নিতে পারবে। ডিজিটালি দেওয়া ভাড়া সরাসরি মালিকের মার্চেন্ট অ্যাকাউন্টে যোগ হবে। এছাড়া টাকার মাধ্যমে নেওয়া ভাড়া ড্রাইভার মালিককে দিবে। বাসমালিক বাসের অবস্থান, ড্রাইভারের বিস্তারিত, যাত্রীর তথ্য এবং যাত্রীর অভিযোগগুলোও দেখতে পারবেন।”

জানা যায়, ০৭ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে একটি প্রেজেন্টেশনের আয়োজন করা হয়। তখন সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

এরপর মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম গবেষণা দলটিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এসময় প্রকল্পটির একটি প্রেজেন্টেশন গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরা হয়।

RELATED ARTICLES

Most Popular