শিক্ষাঙ্গন: বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, “মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী চাপ নিবেন না মাথা ঠান্ডা রাখুন।”শি
তিনি বলেন, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের শিশু, কিশোর শিক্ষার্থীদের জন্য ৩০ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতেছেন কিন্ত ভার্সিটির ডাঙর ডাঙর ছেলে মেয়েদের জন্য ভার্সিটি খুলতে পাচ্ছেন না!
‘আপনি একটি দলের মনোনীত মন্ত্রী, তাই দলের রাজনৈতিক অবস্থা চিন্তা করে আপনার মন্ত্রণালয়ের অনেক সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে এবং ছাত্রদের আন্দোলনের চাপে তা আবার অদলবদল করতে হচ্ছে। আমরা বুঝি, আপনি ও আপনার দল বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিয়ে চিন্তিত। এই চিন্তিত মানে তাদের ভবিষ্যৎ ও ক্যারিয়ার নিয়ে আপনি উদ্বিগ্ন সেটা বলছি না।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা যখন তখন তাদের নিজেদের বিষয়, জাতীয়, আন্তর্জাতিক নানান বিষয় নিয়ে যে কোন সময় আন্দোলন সংগ্রাম করে। সেই আন্দোলন কখন টার্ন করে আপনাদের ক্ষমতার চেয়ারে ধাক্কা মারে সেই টেনশনে আছেন। এটা যারা মোটামুটি রাজনৈতিক সচেতন সবাই বুঝে। আপনারা তো আছেন নিজেদের ক্ষমতা হারানোর দুশ্চিন্তায় কিন্ত ছাত্রদের জীবন থেকে যে মূল্যবান সময় হারিয়ে গেলো তার খবর কে রাখে! কত লক্ষ ছাত্রের জীবন থেকে কত লক্ষ বছর হারিয়ে গেলো তার হিসেব আছে আপনাদের কাছে! কত লক্ষ বাবা মা তাদের সন্তানের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছে কবে তার ছেলেটা মেয়েটা অনার্স মাস্টার্স পাশ করবে, সেই হিসাব আপনাদের কাছে আছে!
আন্দোলনের চাপে হঠাৎ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস শুরুর তারিখ দিলেন ২৪ মে। যাদের পরীক্ষা চলছিলো সেগুলো ও বন্ধ হয়ে গেলো। আবার আন্দোলনের চাপে ঢাবির অধিভুক্ত সাত কলেজের পরীক্ষা চালু করলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা গুলো আর চালু করলেন না। ১৩ মার্চ থেকে ঢাবিতে পরীক্ষা শুরু হবার কথা ছিলো সেটিও বন্ধ হয়ে গেলো। আরো অনেক ভার্সিটিতে চলমান পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেলো। আপনার সিদ্ধান্ত গুলো দেখে মনে হচ্ছে এই ছাত্রদের সাথে আপনার শত্রুতা আছে তাই তাদের ইচ্ছাকৃতভাবে হয়রানি করতেছেন। এ ধরনের হঠকারী সিদ্ধান্ত বন্ধ করুন।পাবলিক, প্রাইভেট সহ সব ভার্সিটির পরীক্ষা চালু করুন। ভার্সিটি গুলো দ্রুত খুলে দেন।