বিলাল মাহিনী, যশোর :
দোশের প্রথম ডিজিটাল জেলা যশোরের অভয়নগরে নওয়াপাড়া ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জটি চলছে খুড়িয়ে খুড়িয়ে।
এক্সচেন্জটিতে জরাজীর্ণ অবস্থা বিরাজ করছে।স্মার্টফোন, মুঠোফোন, ব্রড ব্যান্ড বা ওয়াইফাই এর যুগে ধীরে ধীরে জৌলুস হারিয়ে ফেলেছে শিল্প ও বন্দর নগরীর নওয়াপাড়ার ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ।
এক সময়ের জনপ্রিয় যোগাযোগ মাধ্যম টেলিফোন এখন লোকসানী প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। ১৯৯৪ সালে শিল্প ও বন্দর নগরী নওয়াপাড়ায় দেশব্যাপী সরাসরি ডায়ালিং পদ্ধতির উদ্বোধন করেন, তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী তরিকুল ইসলাম।
প্রাথমিকভাবে বিটিসিএল এর নিয়ন্ত্রনাধীণ প্রতিষ্ঠানটিতে গ্রাহক সংখ্যা বাড়তে থাকলেও মোবাইল ফোনের যুগে ধীরে ধীরে গ্রাহক সংখ্যা কমার সাথে সাথে কমেছে কর্মকর্তা কর্মচারীদের সংখ্যাও।খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে এ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। হাতেগোনা কয়েকটি সরকারী ও প্রাইভেট অফিস ছাড়া এখন আর কেউ এ প্রতিষ্ঠানের সেবা গ্রহণ করেন না।
অফিস প্রধান সামছুল আলম, লাইনম্যান নুরুল ইসলাম, গার্ড হবিবর রহমান, পিএ প্রতীলতা, টেকনিশিয়ান তহমিনা খাতুনসহ মোট ৫ জন আছেন এ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারী। সরেজমিনে নওয়াপাড়া পৌরসভার সম্মুখে অবস্থিত নওয়াপাড়া ডিজিটাল টেলিফোন এক্সচেঞ্জে গিয়ে দেখা যায়, জনমানবশূন্য অফিসে ঝুলছে তালা। ভুতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করছে।খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, স্বপরিবারে অফিসের পিছনের কোয়ার্টারে থাকেন গার্ড হবিবর রহমান।
তিনি ছাড়া উপস্থিত নেই অফিসের অন্য কর্মকর্তা কর্মচারীরা। যশোর খুলনা মহাসড়ক সংস্কারের সময় সমস্ত ক্যাবল নষ্ট হয়ে যায় এবং সেবা বন্ধ থাকে ২ বছরের ও বেশি। পরে নতুন ক্যাবলের মাধ্যমে এখন মাত্র ২৭০ জন গ্রাহককে এ টেলিফোন সেবা প্রদান করা হচ্ছে। যদিও এক সময় ১৩ থেকে ১৪ শত গ্রাহক টেলিফোন সেবা পেত এবং মাসিক ৯২ টাকা মিনিমাম চার্জ ও টেলিফোন টু টেলিফোন মিনিট প্রতি ৩০ পয়সা,টেলিফোন টু মোবাইল ভ্যাট সহ ৭৫ পয়সা খরচ হত বলে সুত্র জানায়। এব্যাপারে বিস্তারিত জানতে কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক মোঃ শামছুল আলমের মুঠোফোনে বারবার কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।